ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম শহর খারসন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় ঘোষণা করেছে যে তাদের সৈন্যরা ইউক্রেনের দক্ষিনাঞ্চলীয় শহর খারসন দখল নিয়ে পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে। শহরের রাস্তায় রাশিয়ার সৈন্যদের চলাচল দেখা যাচ্ছে।
খারসন শহরের মেয়র এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন শহরের প্রধান ট্রেন স্টেশন এবং বন্দর দখল করা হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ-এর পুলিশ বিভাগের একটি ভবনে রকেট হামলা করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন সরকারের একজন উপদেষ্টা টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ বিভাগের সে ভবনে আগুন জ্বলছে। তবে, এই ভিডিওর এখনো সত্যতা যাচাই করতে পারেনি কোন গণমাধ্যম।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বুধবার বিমান থেকে রুশ ছত্রীসেনারা নেমেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে বলেছে, তারা একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সাথে তাদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। রুশ সীমান্তবর্তী খারকিভের মোট জনসংখ্যা ১৪ লাখ। এদের অধিকাংশই রুশ ভাষাভাষি।
শহরটির সর্বত্রই সংঘর্ষ চলছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্তন গেরাশচেঙ্কো বলেছেন, মূলত খারকিভের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে গোলা হামলা চালানো হয়নি।
এদিকে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী খেরসন শহরটি মঙ্গলবার ঘিরে রেখে রুশ সেনারা প্রবেশমুখে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছিল। ইতোমধ্যে তারা রেলওয়ে স্টেশন ও বন্দর দখলে নিয়েছে। নগরীর মেয়র ইগর কলিখায়েভের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানায়।
এদিকে আজভ সাগর তীরবর্তী বন্দর নগরী মারিওপুলে মঙ্গলবার রুশ হামলায় কয়েক’শ বেসামরিক লোক আহত হয়েছে বলে নগরীর মেয়র ভাদিম বয়েশেংকো জানিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলছে, তারা বেলারুশ থেকেও হামলার আশংকা করছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বেলারুশের সৈন্যদের উচ্চ সতর্কাবস্থায় এবং ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি জড় করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরো বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলা শুরুর পর থেকে রাশিয়া বেলারুশের সীমান্ত থেকে পদ্ধতিগতভাবে ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।
ইবাংলা/ জেএন/ ২ মার্চ, ২০২২