মারিউপলের শিশু ও প্রসূতি হাসপাতালে বুধবারের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ সেনাদের এ বোমা হামলায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। হামলার পর অনেকেই ওই হাসপাতাল ভবনের নিচে আটকে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়া দেশটিতে গণহত্যার মত অপরাধ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনে রুশ সেনারা রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউজ।
এক বার্তায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর গতি কমে এলেও কিয়েভ ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা বাদ দেয়নি মস্কো। এজন্য রিজার্ভ সেনা আনা হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।
এদিকে, যুদ্ধ বন্ধে তুরস্কে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পোল্যান্ড পৌঁছেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও।
কিয়েভ থেকে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন কী ধরনের দেশ, হাসপাতাল ও প্রসূতি হাসপাতালগুলো ধ্বংস করছে?
তিনি বলেন, প্রসূতি হাসপাতালে কেউ কি রুশ নেতাদের গালাগালি করেছে? এটা কি ছিল? এটা কি হাসপাতালের ‘ডিনাজিফিকেশন’ (নাৎসিবাদের প্রভাব মুক্তকরণ) ছিল?
জেলেনস্কি বলেন, এটি নৃশংসতা। হানাদাররা মারিউপলে যা করছে, তা ইতোমধ্যে নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার এই যুদ্ধাপরাধের নিন্দা জানাতে আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রসূতি হাসপাতালে হামলা ‘চূড়ান্ত প্রমাণ… ইউক্রেনে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে’, বলেন জেলেনস্কি।
ইবাংলা/ জেএন/ ১০ মার্চ, ২০২২