বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নতুন শনাক্ত রোগীর কমেছে। বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন করে আক্রান্ত প্রায় সোয়া ১৫ লাখ মানুষ। এসময় সবচেয়ে বেশি সংক্রমন হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্য দিকে প্রান হানীর শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ কোটি ১০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ লাখ ৪৩ হাজার।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৫৯৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুইশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪২৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ১২ হাজার ১১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ হাজার ৪৪০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ২০০ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ২৬৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৩ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৭৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৬ জনের।
এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৩ জন এবং মারা গেছেন ২১৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৫ হাজার ৫১৫ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লাখ ৯৪ হাজার ৪২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৮ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ জন।
যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১২৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৯৩৬ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২৪৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪৩ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫৬ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০৪ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ১৯০ জন এবং মারা গেছেন ১৫৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৩ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৬ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পোল্যান্ডে ২৩৪ জন, আর্জেন্টিনায় ৫৪ জন, ইরানে ১৭৩ জন, রোমানিয়ায় ৬২ জন, মালয়েশিয়ায় ১১৩ জন, ফিলিপাইনে ১১০ জন এবং হাঙ্গেরিতে ৫৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২৬৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ১৬৬ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
ইবাংলা/ টিপি/ ১০ মার্চ, ২০২২