ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তারুণ্যের রাষ্ট্র। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার অভাবে ভুগছে, তখন তরুণ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের জন্য সুযোগের দরজা খুলে গেছে। পপুলেশন ডিভিডেন্ট বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ।
মন্ত্রী বলেন, সুযোগ ও পরিবেশ পেলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম। আমরা সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযুক্তির সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণ করছি। প্রযুক্তির এই মহাসড়ক ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন ও সামাজিক সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার ( ১২ মার্চ) ঢাকায় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশন আয়োজিত উদ্যোক্তা মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিল্প, বাণি্জ্য এবং শিক্ষাসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের জীবন যাপন এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযুক্তি ও যথাযথ ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে আমরা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এমন কী বাড়ি বাড়ি উচ্চগতির ইন্টারনেট আমরা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি ডিজিটাল জাতি গঠনে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে আগামীর দুনিয়ায় বসবাস করা যাবে না। তিনি নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের সোনার মানুষ আখ্যায়িত করে বলেন, আমাদের ছেলেরা মাত্র তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ উদ্যোক্তা তৈরিতে সংগঠনের কর্মকাণ্ড মন্ত্রীকে অবহিত করেন। অনুষ্ঠানে আইএসপিএবি‘র সভাপতি এমদাদুল হক প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন উদ্যোক্তা তাদের উঠে আসার কাহিনী তুলে ধরেন। একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোক্তা হওয়ার কাহিনী তুলে ধরে বলেন, তার দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া সত্ত্বেও যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন। কয়েক জন নারী উদ্যোক্তা অনুরূপ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
পরে মন্ত্রী ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগ আয়োজিত কম্পিউটিং এডভান্সমেন্ট শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ১২ মার্চ, ২০২২