নারায়ণগঞ্জ শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা জাকারিয়া মুবিনের। মহামারী করোনায় চাকরি হারায়। এছাড়া চাকরির বাজারের দুরবস্থা উপলব্ধি করে নিজ উদ্যোগে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। যে ভাবনা সে কাজ। আয়ুর্বেদীক হিসেবে পড়াশোনার কারণে সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে বেশ জানাশোনা ছিল। তাই ভেজাল ও কেমিক্যাল মুক্ত, অর্গানিক খাদ্যপণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ‘তরতাজা ফুডস’।
উদ্যোগ শুরুর প্রথম দিকটা কঠিন হলেও স্ত্রী ও বন্ধুবান্ধবদের সমর্থনে অতোটা কঠিন মনে করেননি তিনি। তবু ভেজাল ও ক্যামিকেল মুক্ত খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংগ্রহ করার প্রক্রিয়ায় পদে পদে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন।
২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে ডোমেইন কেনার মাধ্যমে জাকারিয়া তরতাজা ফুডসের পথচলা শুরু করেন। প্রথমে অনলাইনভিত্তিক (ফেসবুক পেজ) কাজ করলেও, অক্টোবরের দিকে নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলিতে শোরুম কাম আউটলেটের মাধ্যমে অফলাইনে বিক্রি শুরু করেন।
১০ হাজার টাকার হাতে ভাজা মুড়ি, গরুর ঘানিভাঙা সরিষার তেল ও মেশিনে ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল নিয়ে জাকারিয়ার পথচলা শুরু হলেও এখন শোরুম, ফার্নিচার, প্রোডাক্ট স্টকসহ সবকিছু মিলিয়ে তিন লক্ষাধিক টাকার মত পুঁজি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
তিনি মূলত হাতে ভাজা মুড়ি, গরুর ঘানিভাঙা সরিষার তেল, মেশিনে ভাঙ্গা সরিষার তেল, পাবনার খাঁটি ঘি, সরিষাবাড়ির প্যারা সন্দেশ, ময়মনসিংহের চ্যাপা শুটকি, কক্সবাজারের লইট্যা শুটকি, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া, ঢেঁকিছাটা মাসকলাই ডালের গুড়া, ঢেঁকিছাটা আতপ চালের গুড়া, সুন্দরবনের কয়েক প্রকারের চাকের মধু, দেশি গাভীর খাঁটি দুধ, ইলিশের ডিম, পিংক সল্ট, কালিজিরার তেল, হাতে বানানো অর্গানিক নারিকেল তেল, পাটালী গুড়, ঝোলা গুড়, আখের গুড়, গরম মশলা, মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি পণ্যের সেবা দিয়ে থাকেন।
এই পণ্য নিয়ে উদ্যোক্তা যাত্রা শুরু করার বিষয়ে জাকারিয়া মুবিন বলেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ভেজাল ও ক্যামিকেল মুক্ত খাবার। মূলত মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উদ্দেশ্য থেকেই তরতাজা ফুডসের যাত্রা।
গ্রাহকরা তার পণ্য দু’ভাবে পেতে পারেন। ফেসবুক পেজ তরতাজা ফুডস ও সরাসরি আউটলেট: এ-১৩০, নতুন আইলপাড়া, পাঠানটুলি, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ থেকে।
ইবাংলা/ এশো/ ১৩ মার্চ, ২০২২