ঢাকার গেন্ডারিয়াতে জন্ম ও বেড়ে উঠা ফারহানা ইসলামের। সমবয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে দূরান্তপনায় কেটেছে শৈশব। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ও হ্যান্ডবল খুব ভালো খেলতেন বলে স্কুলের সকলের ছিল পরিচিত ও প্রিয়মুখ।
বাবা ব্যবসায়ী হওয়ায় ছোট থেকেই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ পরিচালনা দেখতেন। এছাড়া মাকে দেখতেন সেলাই মেশিনে তাদের জন্য সুন্দর সুন্দর জামা বানিয়ে পরাতে। তাদের জামা দেখে অন্যরাও জামার কাপড় নিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে জামা বানিয়ে নিতেন।
বাবা ও মায়ের কাজ দেখেই সিদ্ধান্ত বা স্বপ্ন দেখতেন তিনিও একদিন এমন কাজ করবেন। যদিও সে সময় উদ্যোক্তা শব্দের সাথে তিনি পরিচিত নন। ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। স্কুল, টিউশনি, কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের সাথেই তার দিন কেটে যেত। কিন্তু সেই সুখকর দিনচলায় বাঁধ সাধে মহামারী করোনা। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার সাথে সাথে চাকরি হারিয়ে উপার্জন বন্ধেরও যেন ঘোষণা আসে তার পথচলায়। কর্মজীবি হয়ে পরেন কর্মহীন একজন নারী। সেই কঠিন সময়েই উদ্যোক্তা হওয়ার যুইসই সময় মনে করেছেন তিনি।
তারপর ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা রাজিব আহমেদের নির্দেশনা বিষয়ক পরামর্শ পড়তে থাকেন তিনি। সেই পরামর্শ বা নির্দেশনাই যেন এ পথে তার শক্তিকে বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ। তারপর নিজ জেলার দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য জামদানির মাধ্যমে ২০২০ সাথে জুলাইয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন উইমেন’স জোন। এখন তার পুঁজি কয়েক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তার কাস্টমাইজ জামদানি দেশ ছাড়িয়ে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে।
শুরুটা কিছু জামদানি শাড়ি কিনে এনে সেল করার মাধ্যমে হলেও বর্তমানে তিনি কাস্টমাইজ জামদানি শাড়ি, টু পিস বেবি ড্রেসও করে থাকেন। পাশাপাশি সম্প্রতী উদ্যোগে যোগ করেছেন নিজের ডিজাইনের জামদানি শাল।
নিজ বাসার একটি রুম-ই তার আউটলেট কিংবা প্রতিষ্ঠান। ফেসবুক পেজ উইমেন’স জোন-এর মাধ্যমে ফারহানা ইসলামের পণ্য গ্রাহকরা পেতে পারেন।
ইবাংলা/ এশো/ ১৩ মার্চ, ২০২২