শেখ মুজিবুর একটি তারুণ্যের শক্তি জাগ্রতকারী ইতিহাসের নাম

ইবাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু আপনি বাংলাদেশের তারুণ্যের আদর্শ। তারুণ্যের শক্তি, তারুণ্যের মনোবল যোগানধারী,তারুণ্যের আদর্শ দল ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি তরুণ প্রতিভাবান, শৈল্পিক কারুকাজে পারদর্শী,বাংলাদেশের জন্মদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তার তারুণ্যের মনোবল শক্তির বলে তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নয় সারা বিশ্বের তরুণদের আদর্শ নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি অন্যায়,শোষণ ও শোষকের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভা বিকশিত হয় তরুণ বয়সে।

এখান থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে একটা শিক্ষা দেয় তারুণ্যের শক্তি জাগ্রত করে দেশ ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য নিজেকে তাঁহার মতো শপে দেওয়া।

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন সূচনা থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা, ১৯৬৯ সালে গন- অভ্যুন্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশের জন্য জীবনের প্রায় সব সময় কারাগারে বন্ধী থেকেছেন। তা আমাদের তরুণ সমাজের জন্য উত্তম আদর্শ। তাহার এই অদম্য তারুণ্য শক্তির আদর্শে আমাদের প্রতিটা তরুণকে সাজাতে হবে।

তাঁহার ৭ই মার্চ ভাষণ যা বাংলাদেশের মানুষকে নতুনভাবে বাঁচতে,নতুন ভাবে আন্দোলন করতে উজ্জীবিত করে।তাঁহার ১৮ মিনিটের ভাষণে বাঙ্গালী তারুন্য সমাজ থেকে শুরু করে কৃষক,শ্রমিক,মুটেমজুর,সকলেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাঁহার নেতৃত্বে,৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের মাধ্যমে আজকে স্বাধীন সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ পেয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণ,তাঁর নেতৃত্ব
আমাদের তরুণ সমাজকে এটাই শিক্ষা দেয়,নতজানু নয় অন্যায় শোষণের বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে প্রতিবাদ করেই বেঁচে থাকার নাম জীবন।প্রতিবাদে হোক যদি মৃত্যু, হোক যদি জেল তবুও পিছুপা হওয়া যাবে না এটাই বঙ্গবন্ধুর তারুণ্যে শক্তির আদর্শ। বাংলাদেশের প্রতিটা তরুণকে বঙ্গবন্ধুর মতো তারুণ্য শক্তি জাগ্রত করতে হবে,দেশ ও মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে শপে দিতে হবে।

লেখক: মোঃ মানিক আহসান
শিক্ষার্থী, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
ইবাংলা/ ই/ ১৭ মার্চ, ২০২২

ইতিহাসেরজাগ্রতকারী
Comments (0)
Add Comment