ইউক্রেনে রুশ হামলার চতুর্থ সপ্তাহ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার (২০ মার্চ) ‘রুশ বর্বরতার’ নিন্দায় পশ্চিমাদের সাথে যোগ দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
এদিকে মস্কো দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের অস্ত্র গুদামে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এটি হবে প্রথম মারাত্মক এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার।
এ অবস্থায় দেশটির ক্ষুব্ধ নেতা ভলোদমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ‘অর্থপূর্ণ’ আলোচনার ওপর জোর দেন। এছাড়া তার শীর্ষ উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক রুশ হামলার নিন্দায় পশিমাদের সাথে শরীক হতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে এর নিন্দা জানিয়ে আসলেও চীন এখনও পর্যন্ত তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
এদিকে রাশিয়ার হাইপারসনিক কিনঝাই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইয়রি ইগনাট অস্ত্র গুদামে রাশিয়ার হামলার খবর নিশ্চিত করলেও ঠিক কি ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার মস্কো করেছে সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন নি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাময়িকভাবে আজভ সাগরের সাথে তাদের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন। মারিওপোলের পতনের পর রুশ বাহিনী কয়েকসপ্তাহ ধরে এই উপকূলীয় এলাকা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। এদিকে জেলেনস্কি শনিবার তার সর্বশেষ ভিডিওতে রাশিয়ার প্রতি আবারো যুদ্ধবন্ধে অর্থপূর্ণ আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন সময় সাক্ষাতের, আলোচনার। এখন সময় আঞ্চলিক অখন্ডতা নবায়নের এবং ইউক্রেনের জন্যে ন্যয্যতার। জেলেনস্কি বলেন, না হলে রাশিয়ার এমন ক্ষতি হবে যা পরবর্তী কয়েক প্রজন্মেও তা কাটিয়ে উঠা যাবে না। উল্লেখ্য, যুদ্ধ বন্ধে উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও তেমন কোন অগ্রগতি এখনও হয়নি।
ইবাংলা/ জেএন/ ২০ মার্চ, ২০২২