রাজধানী ঢাকায় যে প্রচুর পরিমাণে শব্দ দূষণ হয় সেটাই জানাল জাতিসংঘ। শব্দ দূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আর শীর্ষ ৫ শহরের মধ্যে চতুর্থস্থানে আছে রাজশাহী।
সম্প্রতি জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) আওতায় ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২: নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে শব্দ দূষণের প্রথমস্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় স্থানে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ।
আর তালিকার শীর্ষ ৫ শহরের মধ্যে রাজশাহী চতুর্থ এবং ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি পঞ্চম। অর্থাৎ শব্দ দূষণে শীর্ষ ৫ শহরের মধ্যে ৪টিই দক্ষিণ এশিয়ার।
তবে এ প্রতিবেদন করতে জাতিসংঘ কীভাবে এ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এবং ঢাকার কোন এলাকার শব্দদূষণ কীভাবে নিরূপণ করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমতিযোগ্য শব্দের মাত্রা ৫৫ ডিবি (ডেসিবেল) এবং বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডিবি। কিন্তু সেখানে ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডিবি এবং রাজশাহীতে ১০৩ ডিবি পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘গাড়ির শব্দ, উড়োজাহাজ চলাচল, রেল চলাচল, যন্ত্রপাতি, শিল্প এবং বিভিন্ন উৎসব ও বিনোদনমূলক আয়োজনের শব্দ দূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
এদিকে, বিশ্বে বায়ু দূষণের মাত্রার বিচারেও সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। আর রাজধানী হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। গত ২২ মার্চ সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বের ১১৭টি দেশ, ৬ হাজার ৪৭৫টি অঞ্চল এবং স্থলভিত্তিক বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বায়ু দূষণ ডেটার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল এমন তালিকায় ১১৭ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরই রয়েছে চাঁদ। তৃতীয়স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, চতুর্থস্থানে রয়েছে তাজিকিস্তান। আর পঞ্চমস্থানে রয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমান বজায় রাখতে পারেনি।
ইবাংলা /জেএন/ ২৭মার্চ ২০২২