ইউক্রেনর রাজধানী কিয়েভের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ দখলের পর মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাশিয়ান সৈন্যরা চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছেড়েছে।
চেরনোবিলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার দায়িত্বরত ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে জানিয়েছে, “চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকায় আর কোন বহিরাগত নেই।”
এর আগের দিন ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি এনারগোএটম বলেছে, রাশিয়ান সৈন্যরা স্টেশন এবং পারমাণবিক দূষণ এলাকা ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তারা এই এলাকা দখল করে রেখেছিল।
এনারগোএটম এক টেলিগ্রামে জানায়, “আজ সকালে আক্রমনকারীরা পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকা ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।”
এতে আরও বলা হয়, রাশিয়ান সৈন্যরা “দুটি কলামে বেলারুশের সাথে ইউক্রেনীয় সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে” এবং “স্বল্প সংখ্যক” রাশিয়ান সৈন্য স্টেশনে রয়েছে। “এমনকি স্লাভ্যুটিচ শহরটি দখলকারী রাশিয়ান সৈন্য দলটি বেলারুশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।” এই শহরটিতে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীরা বসবাস করতো।
রাশিয়ান সেনাদের দখলের পর চেরনোবিল থেকে তেজষ্ক্রির বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছিল, ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলের ৪ নন্বর রিঅ্যাক্টর বিষ্ফোরণে বিশ্বের ভয়ংকর পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটে, এতে শত শত লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং এর তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ পশ্চিম ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এই অঞ্চলটি বেলারুশ সীমান্তের কাছে।
ইবাংলা/ জেএন/ ১ এপ্রিল, ২০২২