কোনো বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস। উপজেলার প্রায় ২১ টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বাজারে ও পৌর সদরের বেশির ভাগ ব্যবসায়ি লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে।তাদের অনেকেরই নেই বিস্ফোরক জ্বালানি,ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র।
নিয়ম অনুযায়ী, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুদ স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদফতরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধানও রয়েছে।কিন্তু এ নিয়ম এখানে কেউ মানছেন না। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুদির দোকান, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক্স অকটেন, ডিজেল তেলের দোকানে এমনকি গ্রামের ছোট ছোট টং দোকানেও সর্বত্রই লাইসেন্সবিহীন ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস।
অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়িরা ১০টির অধিক গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে মজুদ রাখতে পারবে না। এমন নিয়ম থাকলেও কেউ তা মানছে না ।
এলপিজির বিধিমালা, ২০০৪ অনুসারে কোন দ্বিচক্রযানে এলপিজি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া যে কোন স্থানে এলপিজি ব্যবহার করতে হলে কমপক্ষে ৭ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পূর্ণ সিলিন্ডারে কর্বোন-ডাই- অক্সাইড বা ১১ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পূর্ণ ড্রাই-কেমিক্যাল ধরণের গ্যাস, চালকের সহজলভ স্হানে থাকতে হবে।
অথচ এসব নীতিমালা না মেনে, ছোট বড় পিকআপ ভ্যানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য বহন করছে দোকানে দোকানে।।এতে জনবহুল স্হানে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
গ্যাস সিলিন্ডার ক্রেতারা বলেন, যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।এতে যে কোন মূুহূর্তে ঘটতে পারে বিস্ফোরণ।ঘটতে পারে অগ্নিকান্ড ।তাই প্রত্যেক দোকানির উচিত অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা।এ বিষয়ে ক্রেতারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সদরের এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়ি আনোয়ার ট্রেডার্সের সত্বধিকার জাকির হোসেন বলেন, প্রত্যেক এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়িকে বিস্ফেরক, জ্বালানি লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার সহজ স্হানে সংরক্ষণ করেই ব্যবসা করা উচিত। আমারা এলপিজি’র বিধিমালা মেনেই ব্যবসা করে যাচ্ছি।
পৌর শহরের এলপিজি গ্যাসের লাইসেন্সধারি পুড়নো ব্যবসায়ি ঘোষ এন্ড সন্স এর সত্বধিকারি বাবু প্রমোথ ঘোষ বলেন, আমি সকল প্রকার নীতিমালা মেনে বহু বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। তবে দুঃখের বিষয় যত্রতত্র এখন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানেই অগ্ননির্বাপক সিলিন্ডার নেই। এতে করে জনগনের যান মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেবব্রত সরকার বলেন, সি ও টি এবং ডি সি পি বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপকের স্হায়ী যন্ত্রপাতি প্রত্যেক দোকানেই থাকা বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে সহাকরী কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, জনসাধারণ ও এলপিজি ব্যবসায়িদের সচেতন হতে হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দোকানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
ইবাংলা/ জেএন/ ১ এপ্রিল, ২০২২