বর্তমান সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (৯ এপ্রিল) চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, তার পরামর্শ দেবে জনগণ, বিদেশি কোনো পরামর্শে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।ড.মোশাররফ বলেন, জনগণ যেদিন পরামর্শ দেবে, জনগণের আস্থা যেদিন হবে যে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিতে পারবে, মেশিনের মাধ্যমে নয়। সেদিন জনগণ বলবে আপনারা নির্বাচনে যান। জনগণের দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল। আজ বাংলাদেশে যে সংকট, তা হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই, ভোটের অধিকার নাই, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা, হামলা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। স্বৈরাচারী সরকার, গায়ের জোরের সরকার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। দেশ আজ ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমরা লজ্জিত, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকাতে গিয়ে ধরনা দিচ্ছেন। কয়েকটি দিন আগেও আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছে বিএনপি নাকি ধরনা দেয়। আজ বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত ধরনা কারা দিচ্ছে। এই সরকার সব দিকে যখন মনে করছে তাদের ব্যর্থতা, সকল ক্ষেত্রে তাদের পরাজয় তখন তারা বিদেশিদের সহযোগিতা চাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ন্যকারজনক।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকাতে গিয়ে অনুরোধ করা নয়, ধরনা দেওয়া নয়। সমাধান হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। জনগণ যাদের নির্বাচিত করে তারাই সরকার গঠন করবে। এর জন্য আমেরিকাতে গিয়ে ধরনা দেওয়ার অর্থ দেখি না। এতে প্রমাণিত হয় সরকার কি পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ড.মোশাররফ বলেন, আমরা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা তো বেশি কিছু কথা নয়। এই সরকার পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনে যে কারচুপি, যে ডাকাতি করেছে তাতে জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও আস্থা নাই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা আমরা ঘোষণা করেছি। এখন সরকারের উচিত পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।
ইবাংলা / জেএন /৯ এপ্রিল,২০২২