শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সেশনজট নিরসনে সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হলেও গেল সাড়ে ৪ বছরে এসব তো দূরের কথা বরং নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অধিভুক্ত করার পর সাত কলেজ অধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতায় শুরু হয় অচলাবস্থা। এজন্য সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা কাঠামো বা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরামর্শ শিক্ষাবিদ আবুল কাসেম ফজলুল হকের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পরও চরম বিশৃঙ্খলায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। যথা সময়ে পরীক্ষা না নেয়া, পরীক্ষা নিলেও ভুলে ভরা ফল প্রকাশ, এক বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে একাধিক বিষয়ে ফেল দেখানো এবং অনুপস্থিত দেখানো হয়। আর এসব সমাধানে বিভিন্ন নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা পাগলের মতো দিক-বেদিক ছুটাছুটি করে।
ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা দেই। পরীক্ষার পর আমাদের জানানো হয় যে আমরা অনুপস্থিত।
এছাড়া রয়েছে আবাসন ক্লাস সংকট, সময়মত হয় না ক্লাস, নেই আধুনিক পাঠাগার, ল্যাব ব্যবস্থা। এক শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা হয় অন্য শিক্ষাবর্ষে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাত কলেজ ডেডিকেটেড ডেস্ক চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আড়াই বছরেও তা চালু হয়নি। এতো ভোগান্তি নিয়ে কিভাবে পাস করে বের হবে এই দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, সেটাই প্রশ্ন অভিভাবকদের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, সেই পরিকল্পনা মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা হবে। সমন্বয়হীন না থাকে সেটিই প্রত্যাশিত। অধ্যক্ষরাই এই দায়িত্বগুলো পালন করবেন। যে সমন্বয় কমিটি, সেই কমিটির অর্থ হলো সেখানে সাতজন অধ্যক্ষ রয়েছেন।
সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল মন্তব্য করে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটা ভুল সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সাতটি কলেজযুক্ত করা। যে সাতটি কলেজ এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের পরীক্ষা নেয়া, পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা ঠিকমতো করতে পারছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাত কলেজকে অবিলম্বে সরিয়ে নেয়া উচিত।
ই-বাংলা.প্রেস/ আই