অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণ করতে নগর পরিকল্পনাবিদসহ সবার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানিপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করার ব্যাপারেও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
রোববার (২৪ এপ্রিল) গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে দেশে নতুন করে ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি স্থাপনায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেভাবেই বিল্ডিং স্থাপনা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই অগ্নিনির্বাপণের মহড়া করতে হবে, যাতে সবাই সচেতন থাকতে পারে।
এ সময় পর্যায়ক্রমে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমরা এভাবে এগিয়ে যাব। আমরা এখন করোনা মুক্ত হয়েছি তারপরও আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। কারণ কিছু কিছু দেশ আবার করোনার প্রভাব দেখা দিয়েছে।
এর আগে দেশে নতুন করে ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে দেশে মোট ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯৬ টি।
নতুন ৪০টি ফায়ার স্টেশন হলো- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ফায়ার স্টেশন, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া ফায়ার স্টেশন, গাজীপুরের কাপাসিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর (পুনর্নির্মাণ) ও সিরাজদিখান, মাগুরা সদর (পুনর্নির্মাণ), কিশোরগঞ্জের নিকলী স্থল কাম-নদী, ঢাকার কল্যাণপুর, জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী (পুনর্নির্মাণ), যশোর সদর ও ঝিকরগাছা (পুনর্নির্মাণ) ।
যশোর সেনানিবাস, যশোরের চৌগাছা ও কেশবপুর, বাগেরহাটের মোল্লাহাট, ফরিদপুর সদর (পুনর্নির্মাণ), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, কিশোরগঞ্জের ইটনা, অষ্টগ্রাম, হোসেনপুর, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, রাজবাড়ীর কালুখালী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, নোয়াখালীর কবিরহাট, বিবাড়ীয়ার বিজয়নগর, বান্দরবানের থানচি ও রামু, খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, নেত্রকোনার পূর্বধলা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং মাদারীপুরের কালকিনি ফায়ার স্টেশন।
ইবাংলা / জেএন /২৪ এপ্রিল ,২০২২