রোজার শেষের দিকে এসে জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই, কবে হচ্ছে ঈদ? রোজা তিরিশটা হচ্ছে নাকি উনত্রিশটা? কারও কারও দৃষ্টি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ ঈদ হলে আগামীকাল বাংলাদেশে, সাধারণ মুসুল্লিদের এমন সরল সমীকরণ।
তবে এ বছর বাংলাদেশে যখন ২৯ রোজা চলছে, তখন পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও বরিশালের কিছু এলাকার মানুষকে ঈদ পালন করতে দেখা গেছে। বিগত বছরগুলোতে এসব গ্রামের মুসলমানদের সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করতে দেখা গেলেও, এ বছর একটু ব্যতীক্রম দেখা গেছে।
অর্থাৎ সৌদি আরবে আজ ঈদ না হলেও, বাংলাদেশের এই অঞ্চলগুলোতে ঈদ পালন করতে দেখা গেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের কিছু অঞ্চল এবং আফ্রিকার দেশ মালিতে গতকাল শনিবার চাঁদ দেখা গেছে এবং তারা আজ ঈদ পালন করছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের এই অঞ্চলগুলোতেও ঈদ পালন করতে দেখা গেছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ ঈদগাহ ময়দানে আজ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাদ্রা দরবার শরীফের পীর আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি বলেন, কোরআন সুন্নাহর আলোকে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ বা রোজা পালন করা। যেকোনো এক জায়গায় চাঁদ দেখাটা নির্ভরযোগ্য সূত্রে অন্য জায়গায় পৌঁছলে ঈদ রোজা ইত্যাদি পালন করতে হবে।
চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো, আসলে এটা ভুল ব্যাখা। সঠিক হলো, চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখো, চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালন করো।তবে সাদ্রা দরবার শরীফ ঈদগাহ ময়দানের ইমাম সাহেবের সঙ্গে দেশের বৃহৎ শ্রেণির আলেম-ওলামা ও মুসুল্লিদের দ্বিমত রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর খাদিমুল ইসলাম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হক জালীস বলেন, মূলত রোজা পালন বা ঈদ পালনের সম্পর্ক হচ্ছে চাঁদের সঙ্গে। যে এলাকায় যখন চাঁদ উঠবে, সে এলাকায় তখন ঈদ বা রোজা শুরু। অন্য এলাকায় কী হলো বা না-হলো, সেটা বিষয় না। সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে যারা ঈদ পালন করে, তারা কি সৌদি আরবে সঙ্গে মিল রেখে জোহরের নামাজ পড়ে বা ফজরের নামাজ পড়ে? মূলত, এটা হচ্ছে তাদের অজ্ঞতা বা ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না-থাকা।
ইবাংলা/ এসআর / ০১ মে, ২০২২