মহামারি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই নিত্যপণ্যের মূ্ল্যবৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম চড়া। তবে, বাজার সহনীয় রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ- এনইসি সভায় যুক্ত হয়ে একথা বলেন সরকার প্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্যপণ্য রফতানি করার লক্ষ্যেও কাজ চলছে।

সভায় সরকারপ্রধান বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এ কথাটি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। যদি অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকত দেশের যে কী অবস্থা হতো, রাস্তায় রাস্তায় মারামারি শুরু হয়ে যেত। আমরা সেই জায়গাতে থেকে দেশকে উন্নত জায়গায় আনতে পেরেছি।

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় এনইসি সভা থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার মূল এডিপির প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপি’র আকার দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৫৬ হাজার তিন কোটি টাকা। এই হিসাবে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট চলতি সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

তিনি বলেন, এই উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ১৭০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৯৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

খাতনুযায়ী বরাদ্দ

১. পরিবহন ও যোগাযোগ; সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ২৯ শতাংশ।

২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি; দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১৬ শতাংশ।

৩. শিক্ষা; তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা ৩৮ লাখ টাকা। মোট বরাদ্দের প্রায় ১২ শতাংশ।

৪. গৃহায়ন ও গণপূর্ত; ২৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ১০ শতাংশ।

৫. স্বাস্থ্য; প্রায় ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৮ শতাংশ।

৬. স্থানীয় সরকার; ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

৭. কৃষি; ১০ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।

৮. পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ ৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ।

৯. শিল্প; ৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ২০ শতাংশ।

১০. বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি; ৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।

ইবাংলা/টিএইচকে/১৭ মে, ২০২২

নিত্যপণ্যের মূ্ল্যবৃদ্ধি
Comments (0)
Add Comment