বরিশালে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যপক অগ্রগতি ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত ৫ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট”, “কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট”, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন”, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান, চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন, চাহিদা ভিত্তিক নুতন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন, ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষা, মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪), গণিত অলিম্পিয়ার্ড কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন, দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, রিচিং আউটি অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরো জানায়, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলার সদর উপজেলায় সরকারী পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় শিক্ষা মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত (বেসরকারী কলেজ সমূহের উন্নয়ন), সেকেন্ডারী এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টসমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ), মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প (এসইএসপি-২), উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প, সরকারি কলেজ সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন, ১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরে সর্বমোট ৭টি সরকারী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর) অধীনে নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ অধীনে স্কিল এন্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি), দেশের ১’শ টি উপজেলায় ১টি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন, অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, স্কিলস-২১ এমপাওয়ারিং সিটিজেনস ফর ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল গ্রোথ প্রকল্প, দেশের ৬’শ ৫৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন লাইন, নির্বাচিত মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সিলেট, বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে।
এব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর’র নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ করতে পেরে শিক্ষা অধিদপ্তর গর্বিত। প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণ কাজের মান নিয়ে কোন ধরনের আপোষ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যাল’র ভিসি প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বাসস’কে বলেন, শিক্ষারমান উন্নয়নে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে বর্তমান সরকার এ কাজ সমূহ সম্পন্ন করছে। বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় বর্তমানে দেশের অন্যতম একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বর্তমান সরকার দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে এখানকার প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা আরো বেশি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।
এবিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মাদ ইউনুস বাসস’কে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার জন্য সরকার সময়োচিত পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ইবাংলা / জেএন / ১৮ মে, ২০২২