কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতিতে জনজীবনে চরম দুর্ভেোগ পোহাতে হচ্ছে। সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এখনও তা অপরিবর্তিত। সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি।
জলমগ্ন সিলেট নগরের ৫ টি ওয়ার্ডের অনেক এলাকা। কোথাও হাঁটু পানি কোথাও কোমর পানিতে নিমজ্জিত শাহজালাল উপশহর, সোবহানীঘাট, শেখঘাট, কালীঘাট, তালতলা, জামতলাসহ বিভিন্ন এলাকা।
এসব স্থানে বিঘ্নিত যানচলাচল, বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে। ডুবে গেছে ফসলি জমি। বন্যার পানিতে অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৯শে মে) সকালে সুনামগঞ্জের নদ- নদীর পানিও বিপৎসীমায় ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষ জানান, পানি বাড়তে থাকলে আমাদেরও দুর্ভোগ বাড়তে থাকবে। ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে আছি। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কোনো কাজ-কাম করতে পারছি না।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ মেট্রিক টন চাল ও প্রতিটি উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় সাত হাজার পরিবার বন্যার দুর্ভোগে পড়েছে। দুই উপজেলায় ১৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৫টি উপজেলায় ২৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বন্যার্ত মানুষের পাশে আছি। যে সকল উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি আছেন তাদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ইবাংলা/টিএইচকে/১৯মে,২০২২