সিলেট ও সুনামগঞ্জে সামান্য কমেছে নদ-নদীর পানি। তারপরও দুর্ভোগে আছেন চার লাখের বেশি মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র এমনকি খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে অসহায় মানুষদের। শনিবার (২১ মে) সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমটার কমে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও অনেক রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে আছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে আছেন দুর্গতরা।বোরো ধান, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ সহকারি প্রকৌশলী নিলয় পাশা বলেন, সুরমার পানি কিছুটা কমেছে। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জের অমলসীদে একটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই পানি এখন ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ হয়ে নামবে। ফলে ওই এলাকায় পানি বাড়ছে। এই দুই উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিতও হতে পারে।
গত ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়। এর কয়েকদিন আগে থেকে নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০ উপজেলারই বেশিরভাগ এলাকা। সিলেট নগরীর সুরমার তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বিপর্যয় নেমে আসে।
এদিকে বন্যায় সিলেট জেলার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে বোরো ধান, আউশের বীজতলার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেতও আছে। এতে কৃষকের ঘুম হারাম। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
ইবাংলা / জেএন /২১ মে,২০২২