আসন্ন হজ পালনে হাজিদের সেবায় সৌদি যাচ্ছেন ৫৩২ সদস্যের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারদের একটি বহর। এদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, চিকিৎসক থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। প্রতি বছরই সৌদি সরকারের নির্দেশনামতে হজ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৌদি আরবে পাঠানো হয়ে থাকে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৫৭ হাজার জন মুসলিম পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার মুসল্লি। বাকি সবাই যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
৫৩২ সরকারি ব্যক্তি কর্মকর্তাদের সৌদি যাওয়ার বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, এখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে। একটি হলো প্রতিনিধি দল। ১০ জনের এই দলে মন্ত্রী বা সচিবরা থাকতে পারেন। আমাদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বা অন্য সদস্যরাও থাকতে পারেন।
তারপর ৪০ জনের একটি প্রশাসনিক টিম আছে। এই টিমে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব বা উপসচিবরা থাকেন। এ রকম প্রত্যেক সেক্টরেই কোটাভিত্তিক ভাগ করা আছে। যেমন ডাক্তার থাকেন, নার্স থাকেন। সবারই একটি কোটা থাকে। এখানে সবই কোটাভিত্তিক ভাগ করা আছে। সব মিলিয়ে ৫৩২ জন যাবেন।
তিনি আরও বলেন, এবার যাচ্ছেন মাত্র ৫৩২ জন। অন্যান্য বছর হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সহায়তা করতে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ লোক সৌদি আরবে যেতেন। এবার যাচ্ছেন মাত্র ৫৩২ জন। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে যাচ্ছেন অন্য সময়ের তুলনায় অর্ধেক। সে হিসাবে ৯০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাওয়ার কথা। আর এটা আমাদের নয়, সৌদি সরকারই করেছে। আমরা সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। একটি প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। অপর প্যাকেজটির খরচ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। সে হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি আরব যাচ্ছেন তাদের পেছনে সরকারের খরচ হবে কমপক্ষে ২৪ কোটি টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার হজ হতে পারে ৮ জুলাই। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৫৭ হাজার হজযাত্রীর অর্ধেক করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস। চলতি হজ মৌসুমে বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৩১ মে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ইবাংলা/টিএইচকে/২১ মে,২০২২