কালবৈশাখী নিয়ে বাঙালির রোম্যান্টিকতার শেষ নেই। তবে প্রকৃতি মোটেই সেসবের তোয়াক্কা করছে না। প্রায় বিকালের দিকে ঝড় বৃষ্টি হলেও, দিনেরবেলায় বাড়ছে পারদ। ফলে ঠান্ডা-গরমের তারতম্যের সঙ্গে প্রবল আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের সুস্থতা রক্ষা করতে বাড়তি উদ্যোগ জরুরি।
এই সময়, বৃষ্টির পানি যত কম গায়ে লাগানো যায় ততই ভালো। এই সময় ছাতা সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন; এতে রোদ আর বৃষ্টি দুটোই আটকাতে পারবেন। কোনও ভাবে শরীর ভিজে গেল যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলতে হবে পোশাক। মাথা ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে দ্রুত মুছে নিতে হবে।
শুধু বৃষ্টির পানিই নয়, এই সময় হরেক রকমের রোগ জীবাণুরও প্রকোপ শুরু হয়। তাই এই ধরনের রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতা থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত হাত-পা ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত। শিশুরা খেলাধুলো করবেই। কিন্তু অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে; তারা যেন নোংরা পানি-ময়লা না ঘাঁটে। শিশুদের জামাকাপড় ও হাত-পা নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি।
যে কোনও ধরনের রোগব্যাধির মোকাবিলা করতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পানি পান করুন। যাঁদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে নিয়মিত, তাঁদের উদ্দেশে— বাইরের কাটা ফল, শরবত এড়িয়ে চলুন।
প্রয়োজনে সঙ্গে পানির বোতল রাখতে পারেন। বোতলে লবণ-চিনি মেশানো পানি নেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত পানি পান করার পাশাপাশি, জোর করে প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না। এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা পেটের গোলযোগের মতো সমস্যা দেখা দিলে; রোগ নিয়ে বসে না থেকে বা নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইবাংলা /জেএন /২৪ মে,২০২২