সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। এতে নদীর দুই পাশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ১৫টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি।
শুক্রবার বিকেলে আকস্মিক ভাঙনে এনায়েতপুর থানার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাক্ষণগ্রাম ঘুরে এ ভাঙনের চিত্র দেখা গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকালে শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চৌহালীর বিনানই ও দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় চারদিন যাবত চলা নদীভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
নদী ভাঙন এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেকটাই কম। ভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভাঙন কবলিতরা।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা নদীর চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের তিল, কাউন, পাট, আখ, সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসলিজমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ভাঙন এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম।
ইবাংলা/ জেএন /১১ জুন,২০২২