বিভিন্ন কাউন্টার থেকে যাত্রী সেজে দুরপাল্লার বাসে উঠে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। নির্জন স্থানে গেলে বাস ও যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি করেন।
গত দুই বছরে ১০ থেকে ১৫টি বাসে ডাকাতি করে তারা। শুধু গত এক মাসেই ৩ টি ডাকাতি করে। এই চক্রের ১০ সদন্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -৮।
গতকাল (১১ জুন) রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালীন দেশি ও বিদেশি অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
রোববার (১২ জুন) দুপুর ১১ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আটককৃতরা হলেন, ডাকাত সর্দার (১) মো. হিরা শেখ (৪০), মো. হাসান মোল্লা (৩৯), আরিফ প্রামানিক (৩৩), মো. নুর ইসলাম (৫৩), মো. রাজু শেখ (৫৪), মো. রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬) মো. শরিফুল ইসলাম (৩৯) মো. হানিফ (৪২), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতারের সময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৮টি দেশিয় অস্ত্র, ৪টি শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের টিকেট, ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল।
তিনি বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায় তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। এই দলের সদস্য সংখ্যা ১২/১৫ জন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সর্দার হীরা ও তার অন্যতম সহযোগী হাসান মোল্লা বিভিন্ন ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকে। ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা হতে দেশের বিভিন্ন জেলামুখী যাত্রীবাহী বাসে উঠে ডাকাতি করে আসছিল। বিগত ২ বছরে তারা প্রায় ১০-১৫টি বাসে ডাকাতি করেছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ডাকাতির জন্য তারা ঢাকা হতে দেশের বিভিন্ন দূরপাল্লার আঃন্তজেলা বাস সমূহকে টার্গেট করে। এক্ষেত্রে চক্রটির কয়েকজন পূর্ব থেকেই কাউন্টার হতে টিকেট ক্রয়ের মাধ্যমে বাসে ওঠে। অন্য সদস্যরা পরবর্তী বিভিন্ন কাউন্টার থেকে
টার্গেটকৃত বাসে ওঠে। এছাড়াও, যে সকল দূরপাল্লার বাস কাউন্টার ব্যতিত যাত্রী উঠায় তারা এই সকল বাসকে প্রাধান্য দিয়ে ডাকাতি করে থাকে। সাধারণত তারা মহাসড়কের নির্জন এলাকায় বাস ডাকাতির জন্য বেছে নেয়। ডাকাতি করার পর তারা পুনরায় আশুলিয়ায় ফিরে আসে। এছাড়াও, বিভিন্ন সময় তারা বাড়ি ঘরে ডাকাতি করত বলে জানা যায়।
ইবাংলা/ জেএন /১২ জুন,২০২২