‘দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে কোনও ব্যক্তি সরাসরি আদালতে অভিযোগ করতে পারবেন না’ মর্মে উল্লেখিত দুদক আইনের বিধিটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে বিধিটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং এর অন্তর্ভুক্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত হবে না; তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১২ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতাসংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে ২০১৯ সালের ২০ জুন গেজেট জারি করে। ওই সংশোধনীর কয়েকটি বিধি চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ও নওশীন নাওয়াল একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে থানার পরিবর্তে দুদক কার্যালয়ে এজাহার গ্রহণ করার নিয়ম কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আগের রিটের ধারাবাহিকতায় দুদক বিধিমালার ১৩(৩) বিধি নিয়ে গত ৯ জুন সম্পূরক আবেদনটি করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
এডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, দুদক বিধিমালার ১৩(৩) বিধি কেন বাতিল ও সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ রিটের বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে
ইবাংলা/ জেএন /১২ জুন,২০২২