অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুসফিকুর রহমান মোরশেদ।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন।মুসফিকুর রহমান মোরশেদ অভিযোগ করেন, তামাশার ভোট,তামাশার নির্বাচন বর্জন করলাম। নির্বাচন কমিশনার আমাদেরকে যে ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রতিশ্রুতির কিছুই নেই এখানে। প্রশাসনের সহযোগিতায় সব কটি গোপন কক্ষে নৌকার লোকজন নৌকা মার্কায় জোর করে সুইচ টিপে ভোট নিচ্ছে ভোটারদেরকে চেয়ারম্যান পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
সকালে নদীর কুলে কয়েকজন এজেন্টকে আটক করে বেঁধে রাখা হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়। কোন কেন্দ্রে আমার এজেন্ট দিতে দেওয়া হয় নি।তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, কোনো কেন্দ্রে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন থাকলেও ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না।
এটি ভোট নয়, ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে।নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন অনেক সুন্দর,সুস্থ পরিবেশে ভোট হচ্ছে। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোরশেদ অনেক আগ থেকে উদ্ভট অভিযোগ করে আসছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোর করে ভোট নেওয়ার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি তিনি জানেন না।
এ প্রথম শুনেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে তিনি দেখছেন বলে মন্তব্য করেন। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,বুধবার (১৫ জুন) নোয়াখালীর চার উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। এগুলো হরো, সদরের বিনোদপুর, বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর, সেনবাগের কেশারপাড়,অর্জুনতলা, মোহাম্মদপুর এবং হাতিয়ার হরনী ও চানন্দী।
ইবাংলা /জেএন /১৫ জুন, ২০২২