উদ্বোধনের পরের দিন ২৬ শে জুন থেকে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য। পদ্মা সেতুর দিয়ে মোটরসাইকেল যাতায়াত করবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু দুজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার পর পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরবাইক পারাপার বন্ধ করা হয়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কারণে মোটরসাইকেল যাতায়াতের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ফলে মোটর সাইকেল আরোহীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কিছুদিন পর মোটরসাইকেল যাতায়াতের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে। মোটরসাইকেল যাতায়াতের বিষয়টি সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে মোটরসাইকেল যাতায়াত নিষিদ্ধ বা স্থগিত থাকায় মোটরসাইকেলগুলো পিকআপ আর ট্রাকের এর উপরে তুলে পারাপার করা হচ্ছে।ফলে বাইকাররা পড়েছে বিপদে আর রমরমা ব্যবসা করছেন পিকআপ- ট্রাকের মালিক।
বাইকাররা বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে আমরা মোটরসাইকেলে পার হব এটাই আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর ও গর্বের কিন্তু অতিরিক্ত চারগুণ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল পিকআপে তুলে বাইক পারকরা সত্যিই আমাদের জন্য চরম দুঃখ ও হতাশার।
পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে বাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উপর দিয়ে মোটরসাইকেে যাতায়াত করার জন্য।
তারা বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরবাইক পারাপার করা নিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।কিন্তু আমরা সরকার তথা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায় দ্রুতই যেন আমাদের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।
বর্তমানে পুলিশের সহায়তায় মোটরসাইকেল আরোহীরা শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটের ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে,সেতুর উপরে যানবাহন থামিয়ে জনসাধারণ সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, ছবি তুলছেন, ভিডিও ধারণ করছেন। এতে সেতুর উপর তীব্র যানজটসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া সেতুর উপর রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতির ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এভোক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট ও ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড তথা সেনাবাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টহল জোরদার করা হয়েছে। জনগণকে সেতুর উপর গাড়ি না থামানোর ব্যাপারে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ডিউটি পোস্টের মাধ্যমে সেতুর উপর কেউ যাতে না উঠতে পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু চালুর দুই দিনের মাথায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি বাতিল করতে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ।
মোটরসাইকেল চালকসহ পদ্মা সেতুর দুই পারের জনসাধারণের প্রানের দাবি, সরকার যেন যথাযথ ব্যবস্থা তথা পদ্মা সেতুকে সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে হলেও সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ইবাংলা/এইচএস/২ জুলাই,২০২২