বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা সিলেট, সুনামগঞ্জের মানুষ ! বানভাসি মানুষের হৃদয়বিদারক আহাজারি! খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধের অকল্পনীয় অভাব! । নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যাবিধ্বস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের রসায়ন সমিতি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক ও রসায়ন সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের বানবাসী এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত গণমানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। গত ১ জুলাই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সুনামগঞ্জে কয়েকটি গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী এবং উপহার বিতরণ করা হয়। উক্ত কার্যক্রমের সংগ্রহীত তহবিল থেকে প্রায় দেরশত পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রসায়ন সমিতির সভাপতি ও রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বলেন, “সুনামগঞ্জের বানভাসী মানুষের আর্তনাদে সহমর্মিতা প্রকাশ করে উপহার নিয়ে পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে।
সিলেটের অধিকাংশ জায়গা বন্যা কবলিত হলেও সুনামগঞ্জের অবস্থা ভয়াবহ। তাই রসায়ন সমিতির আয়োজনে সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে পেরে আমাদের এ উদ্দেশ্য কার্যকরী মনে করছি। এরই সাথে দোয়া রইলো সকল বানভাসি মানুষদের উত্তরণের জন্য।”
রসায়ন সমতির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন,” বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা যেকোন দূর্যোগে দেশের মানুষের পাশে এগিয়ে আসি। এবছর বন্যায় সুনামগঞ্জ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের কষ্ট সামান্য লাঘবের জন্য আমরা সুনামগঞ্জবাসীর জন্য কিছু উপহার নিয়ে আসি।রসায়ন সমিতির এ উদ্দোগ এ ভয়াবহ পরিস্থিতে অনেক সময়োপযোগী।”
রসায়ন সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণে সুনামগঞ্জে গিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ, রসায়ন বিভাগের ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাকিব হায়দার রুদ্র ও শাকিল শাহরিয়ার।
উল্লেখ্য, টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ করে পুরো সুনামগঞ্জ সহ আশপাশের জেলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ সারা দেশের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর তা স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও অনেক গ্রাম পানির নিচে রয়েছে।
ইবাংলা / জেএন / ০২ জুলাই,২০২২