তালেবানের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভাকে অবৈধ ও অযৌক্তিক বলেও অভিহিত করেছেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
একই দিনে তালেবানদের পক্ষ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহনের কথা জানান হয়। তাদের এ ঘোষণার পরই ভিন্ন এক বিবৃতিতে আফগান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, তালেবানের মন্ত্রিসভা ঘোষণার কারণে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক, জাতিগত ও সামাজিক বৈচিত্র্য ক্ষুন্ন হবে। দেশটিতে একটি ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা ক্ষুন্ন হবে। তাই আফগানিস্তানের সব কূটনৈতিক মিশন ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের সংবিধানের আলোকে তাদের স্বাভাবিক কাজ ও দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের বিষয়টি অব্যাহত রাখবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথাকথিত তালেবান মন্ত্রিসভা এমন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত, যারা শুধু আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতারই বিরোধী নন, তারা আঞ্চলিক ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা-স্থিতিশীলতার জন্যও মারাত্মক হুমকি।
তালেবানের এই মন্ত্রিসভা গঠনের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছার বিরোধী কাজ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, কাবুল দখলের পর গত মঙ্গলবার কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালেবানের কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যান। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেন।
সূত্র: এনডিটিভি
ইবাংলা / টিপি / ১০ সেপ্টেম্বর