ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির পূর্ব বাজিতপুর গ্রামে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নুরজাহানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি বৈধ্য কাগজ পত্র থাকার সত্তে সরকারি খাস খতিয়ানে নিয়ে সেখানে তৈরি করা হচ্ছে আবাসন ঘর নির্মাণ। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির পূর্ব বাজিতপুর গ্রামের মৃত নজির উদ্দীন মন্ডল এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলম এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
দীর্ঘ ১০ বছর আগে বাজিতপুর মৌজার খতিয়ান নং ০৫, দাগ নং-২১০ এর মোট ৮০ শতক জমির মধ্যে মৃত নজির উদ্দীন মন্ডল এর পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন এবং সিরাজুল ইসলাম এর স্ত্রী একই দাগের ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। সিরাজুল ইসলাম এর ভাই মিজানুর রহমান ৪০ শতকের মধ্যে ৩ শতক জমি বিক্রি করেন অন্যের কাছে।
ফুলবাড়ী শিবনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস একই দাগের নূরজাহানের ৪০ শতক জমি সরকারি খাস খতিয়ান করেন। ঐ জমির দলিল পত্র মাঠপর্চা সবেই রয়েছে। অথচ পূর্ব বাজিতপুর শিবনগর ইউনিয়ন ঐ দাগের ৪০ শতক জমি খাস খতিয়ান করে দেন। সেই তালিকা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস পেয়ে নূরজাহানের ৪০ শতক জমির উপর লাগানো আমগাছগুলি কেটে ফেলে সেখানে আবাসনের ঘর নির্মাণ করছেন উপজেলা আবাসন প্রকল্পের কমিটি।
এ বিষয়ে ভূমি মালিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বৈধ্য কাগজ থাকার পরেও উক্ত জমিতে আবাসন ঘর নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে গত ৩০/০৫/২০২২ ইং তারিখে দিনাজপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোঃ মিজানুর রহমান বাদি হয়ে সরকারকে বিবাদি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৬৪/২২।
এদিকে আবাসন ঘর নির্মাণ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দীন এর সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আদালত গত ১৪/০৭/২০২২ ইং তারিখে শুনানি কালে সরকারের পক্ষে রায় প্রদান করেন। যেহেতু তারা ঐ জমির বৈধ্য কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আদালতে। সরকারের খাস খতিয়ান ভূক্ত জমি ওয়ায় সেখানে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইবাংলা/জেএন/৭ জুলাই,২০২২