এজেন্ট ব্যাংককিংয়ের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার-৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মির কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ৩৩দিন পর ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫ শত টাকা উদ্ধার ও ৩ টি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলো, উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের পৌর করিমপুর এলাকার এছাক মিয়ার বাড়ির মো.আবুল কাশেসের ছেলে যুবায়েদ হোসেন বিপ্লব (২৮) চৌমুহনী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজিপুর গ্রামের

বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ (৩০) ১১নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত অজি উল্যার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন (২৯) গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো.সাহাব উদ্দিন (৩৭)।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় হলরুমে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম।

আরও পড়ুননোয়াখালীতে ডোবায় মিলল মিশুক চালকের মরদেহ

এর আগে গতকাল বুধবার ৩ ছিনতাইকারীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একাধিকস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে।

এসপি আরো জানায়,ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম (৩২) ও মহিউদ্দিন সোহাগ (৩৮)। তারা উপজেলার গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশের অভিযান টের

পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
তবে তাদের বসত ঘর থেকে ৪লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকী আসামিদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হ।

আটককৃতরা জানায়,সুজন ২ লক্ষ টাকা,বিপ্লব ১ লক্ষ টাকা পারভেজ ১ লক্ষ টাকা বাগ হিসেবে পায়।
বাকি টাকা সোহাগ নিজের কাছে রেখে দেয়।

ঘটনার দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশে থেকে সোহাগ টাকা বহনকারী গতিবিধি সুজনকে জানায় এবং রহিম রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পলায়নের সহায়তা করে। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রহিমের। তা সুজনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য সুজন নিজেকে দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে।

আরও পড়ুনআ.লীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রমিহ পৌর ছাত্রলীগের কথিত নেতা হিসেবে সর্বত্র নিজেকে পরিচয় দেয়। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্ত।

উল্লেখ্য, গত মাসের ২০জুন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াবাড়ির পোল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মাস্টার এজেন্ট পয়েন্ট থাকে।

এ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে অন্যান্য সাধারণ এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে টাকা সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিনের মতো গত ২০ জুন সকালের দিকে চৌমুহনী ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাস্টার পয়েন্ট থেকে তাঁদের কর্মী মোজাম্মেল হক ওরফে জামসেদ ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

ওই টাকা তিনি বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা এজেন্টদের কাছে বিতরণের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। মোজাম্মেল হক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আটিয়াবাড়ি পোল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা তিন যুবক আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাঁর গতিরোধ করে।

এ সময় তারা মোজাম্মেলের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় গত ২১ জুন চৌমুহনী ডাচ্ বাংলা ব্যাংকিংয়ের মাস্টার এজেন্ট মোহাম্মদ সাইফুল বাশার (৪৩) বাদীয় হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে ১৯ লাখ টাকা ছিনাতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

ইবাংলা/বায়েজীদ/১৪জুলাই,২০২২

৩৩দিন পর গ্রেফতার-৪
Comments (0)
Add Comment