টাঙ্গাইল ও বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত

টাঙ্গাইল ও বগুড়া প্রতিনিধি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে বাসচাপায় দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার জামুর্কী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শরা জানিয়েছেন, মা তার দুই সন্তান নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সাদিয়া আক্তারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন…পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার নিম্নাঞ্চলের ২০ গ্রাম প্লাবিত

এদিকে এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে করে উভয়পাশে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মহাসড়কের পাশে দুদিকে সিএনজি ও অটোরিকশার জন্য নির্মিত রাস্তায় বড় যানবাহন চলার কারণে যানজট আরও প্রকট হয়েছে।

বড় গাড়ি ছাড়াও ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেল-এমনকি গাড়ির ছাদেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। যে যেভাবে পারছেন ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকা ফিরছেন তারা। ফলে নানা ভোগান্তিরও শিকার হতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা।

আরও পড়ুন… দেশে করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু

এর আগে, বগুড়ার কাহালুতে প্রাইভেটকার ও মিনিট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) সাড়ে ৮টার দিকে কাহালুর দরগাহহাট এলাকার সজল ফ্যাক্টরির সামনে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন…মহাসড়কে থেমে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

নিহতরা হলেন নওগাঁর ধামইরহাটের তানছের আলী (৬০), তার ছেলে টগর আলী (৩৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫) এবং প্রাইভেটকারের চালক পত্নীতলা এলাকার মান্নুর ছেলে সুমন (৩০)।

এতে শাকিল (২০) নামে আরও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের চালকসহ অন্তত ৮ যাত্রী। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটায় শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রিজ এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা মশিউর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩০), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম (৪০) ও বাসচালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কোব্বাত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (৩০)। এদের মধ্যে তিনজনই পোশাক শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন তারা।

আরও পড়ুন…শেখ হাসিনার কারাবন্দি ছিলো বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম বলেন, শুক্রবার (১৫জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রিজ এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে কালিয়াকৈর পরিবহনের একটি বাস ও নওগাঁ ট্রাভেলস নামের আরেকটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক সুজন মিয়া ও যাত্রী ফেন্সি বেগম নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত উভয় বাসের আরও দশজন যাত্রীকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে যাত্রী মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম শুক্রবার রাতে মারা যান। হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহগুলো হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ইবাংলা/টিএইচকে/১৬জুলাই,২০২২

১১ জন নিহতদুর্ঘটনায়
Comments (0)
Add Comment