আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। শনিবার (১৬জুলা্ওই)আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ-সহযোগী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দিবসটি পালন করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আরও পড়ুন…শেখ হাসিনার কারাবন্দি ছিলো বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক
সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেনমহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এই উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
এদিকে, আওয়ামী যুবলীগ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাদ আছর শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন…জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবন সুধাসদন থেকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে শেখ হাসিনাকে আটক করা হয়। পরে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে।
এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ধীরে ধীরে তা তীব্র হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আট সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পরদিনই তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান। চিকিৎসা শেষে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
এর পর স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
ইবাংলা/জেএন /১৬জুলাই,২০২২