জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো আব্দুল্লাহ ঢাকা মেডিকেলে (২০২ নং বেডে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে ১৬ জুলাই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ৯ জুলাই তিনি তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত প্রাপ্ত হন। এতে তার প্রাইমারি ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে আনা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন…জাম পেড়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,গ্রেফতার-১
মোঃ আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার মহেশমারা ইউনিয়নে। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। অন্য দুই বোন বিবাহিত। তার পাঁচ বছর বয়সে পিতা মারা যান। ফলে তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। খুব সংগ্রাম করেই নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন এতদিন। তার চিকিৎসার খরচের জন্য সকলের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হচ্ছিলো। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিবেদিত প্রাণ ছিল আবদুল্লাহ। রিপোর্টার্স ইউনিটির যে কোন কাজে সবার আগে এগিয়ে আসতো সে। প্রচন্ড মেধাবী একজন শিক্ষার্থী ছিল। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক রিসাত রহমান স্বচ্ছ তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা বলেন, আব্দুল্লাহর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এটা মানতে পারছি না যে সে আর ক্লাসে আসবে না। আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছি সর্বক্ষণ।
ইবাংলা/জেএন /১৭ জুলাই,২০২২