নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চাচাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে অভিযুক্ত বাবা পলাতক রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় তার স্বামী মোস্তফা কামাল লিটন ও তার ছোট ভাই দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। লিটন ও দিদারুল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৪টি বসতঘর
পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করলে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিম ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত মোস্তফা কামাল লিটন মেয়েকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় এবং খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে।
অবশেষে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় মায়ের। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে তার স্ত্রী ও ছেলে তাকে এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মারধর করে। মামলার এজাহারে এভাবে বাবার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে নিকাহ্ ও তালাক বিষয়ক কর্মশালা
চাটখিল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো,হুমায়ন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় ভিকটিমের বাবা ও চাচা দিদারুল আলমকে (৩৫) আসামি করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ মামলার দ্বিতীয় আসামি দিদারুল আলমকে যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। আজ সকালে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ইবাংলা/জেএন/২৬ জুলাই,২০২২