চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড় হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ওঠার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সার্কুলার পরিবর্তনও করা হয়েছে।
এ নিয়োগের সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: রুহুল আমিন ও সভাপতি হাশেম রেজা মিলে ৫জন চাকুরি প্রার্থির কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার আগেই ৫জন প্রার্থিকে চুড়ান্ত হিসেবে তাদের কাছে থেকে ঘুষ হিসেবে টাকা নেয়া হয়েছে। এ ৫জন হচ্ছেন আয়া পদে সালমা খাতুন (স্বামী কালু) পরিচ্ছন্ন কর্মি হিসেবে হাতিভাঙ্গার আশরাফুল আলম, অফিস সহায়ক রাসেদুজ্জামান পিনু (পিতা নাজিম উদ্দিন মোল্ল্যা), নিরাপত্তা কর্মি মামুনুর রশিদ, পিতা আবুল কালাম মোল্ল্যা,ল্যাব এসিসট্যান্ট আবু জিহাদ, পিতা নজরুল মোল্ল্যা।
আরও পড়ুন…বিজনেজ অ্যাওয়ার্ডের নামে শাহজাহান ভূঁইয়া রাজুর প্রতারণা
এ বিষয়ে মোঃ মাসুম নামে এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে বলেও জানা গেছে। এ দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম বার ৫ জনের নিয়োগের কথা বলা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৪ জনের নিয়োগ এর কথা বলা হয়েছে।
পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৪জনের উল্ল্যেখ থাকার পরও কীভাবে ৫জনের নিয়োগ হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জনের কথা বলা হয়েছিল। এর পর তিনি বলেন, নিয়োগের প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এখানে টাকা পয়সা লেনদেনের যে কথা বলা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলতেই পারেন। কিন্তু বললেইতো সত্য হযে যাবে না। কারণ নিয়োগ একটি বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া। এটা একক কারো হাতে থাকে না। তিনি এর বেশী কথা বলতে অপারগতা জানিয়ে নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের সভাপতি হাশেম রেজার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন…সহকারী প্রক্টরকে নিয়ে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
এ দিকে এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থি চুড়ান্ত করে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া রীতিমতো একটা প্রতারণা। এ বিষয়ে এলাকাবাসি ভবিষ্যতে আইনী সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ইবাংলা/টিএইচকে/২৮জুলাই,২০২২