জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গেট যেন শিক্ষার্থীদের কাছে এক মরণফাঁদ। এখানে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। শনিবার (৩০ জুলাই) গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায়ও দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে বিভিন্ন রিকশা-ভ্যান ও লেগুনার আধিপত্য।
বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট অনিয়ন্ত্রিত বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রচার হলেও প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন…নিহত হয়েছেন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা !
এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১ আগস্ট (সোমবার) জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বরাবর আবেদন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রী বাড়ৈ।
আবেদনে তিনি জানান, ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে আমাদের হলের সামনে থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের গেট পর্যন্ত অবৈধভাবে অগণিত রিকশা ও লেগুনা স্ট্যান্ড করা থাকে। এই যানবাহন গুলোয় অবস্থান করে বিকৃত মস্তিষ্কের নেশাখোর যুবকরা।
আরও পড়ুন…এক সঙ্গে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বুস্টার ডোজ পেল
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে তারা আমাদের বিভিন্নভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। যা আমাদের প্রচণ্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করে স্বাভাবিক জীবন চরমভাবে ব্যহত করে।
ফলে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। তাই অবৈধ রিক্সা ও লেগুনা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবেদন করেন মৈত্রী বাড়ৈ।
আরও পড়ুন…উন্মুক্ত পাঠাগার খোলার দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাও
বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। প্রধান ফটকের সামনে ৪ রাস্তা একত্র হয়েছে। গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ির গাড়িগুলো রায়সাহেব বাজার দিয়ে জবির প্রধান ফটকের সামনে দিয়ে যায়। এদিকে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলোও প্রধান ফটকের সামনে দিয়ে যায়।
এছাড়া ঢাকা নদীবন্দরের সমস্ত যাত্রীরাও এই রাস্তাই ব্যবহার করেন। অনেক সময় দেখা যায়, প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে থাকে গাড়ির পর গাড়ি আর শিক্ষার্থীদের পার হতে হয় গাড়ি হাত দিয়ে সরিয়ে বা খালি রিকশা থাকলে তার উপর দিয়ে।
এছাড়াও যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হলো কিছু কিছু গাড়ি আছে, যেমন বাইক রাইডার, রিকশা, লেগুনা বিনা কারণে স্ট্যান্ড করে রাখা।
আরও পড়ুন…রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিবর্ষণ
এগুলোই যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা যায়। এ গাড়ির স্ট্যান্ডগুলোর ব্যাপারে প্রশাসন দৃষ্টি দিলে ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সব বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে ঘুরতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩নং গেটের পাশেই ভিক্টর ক্লাসিক, সাভার পরিবহন, তানজিল, বিহঙ্গ, আজমেরী গ্লোরী, ৭ নাম্বার বাস যাত্রী ওঠা-নামানোর কাজ করে। আর এ জন্যই মূলত শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হয়।
ইবাংলা/জেএন/২ আগস্ট,২০২২