মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের তীব্র বিরোধিতা এবং গাম্ভীর্যপূর্ণ কঠোর মনোভাব উপেক্ষা করে চীনের তাইওয়ান অঞ্চল সফর করেছেন। যা গুরুতরভাবে একচীন নীতি এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ইস্তাহারের লঙ্ঘন।
এটি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তিতে আঘাত হেনেছে, চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং ‘স্বাধীন তাইওয়ানবাদীদের’ অতি ভুল সংকেত দিয়েছে।
আরও পড়ুন…বাগেরহাটে কোটি টাকার পণ্য নিয়ে ট্রলার ডুবি
চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে, দৃঢ়ভাবে এর নিন্দা জানায়, মার্কিন পক্ষের কাছে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিশ্বে একটি মাত্র চীন আছে। তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকার হলো চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবে তা নিশ্চিত করা হয়।
চীন বরাবরই তাইওয়ান অঞ্চলে মার্কিন কংগ্রেসের স্পীকারের সফরের বিরোধিতা করে থাকে। পেলোসি হচ্ছে বর্তমান মার্কিন কংগ্রেসের নেতা, তার যে কোনো কারণে তাইওয়ানে কার্যক্রম চালানো হলো যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষের বিনিময় উন্নত করার গুরুতর রাজনৈতিক উস্কানি। চীন তা গ্রহণ করে না এবং চীনা জনগণ এতে রাজি হবেন না।
তাইওয়ান ইস্যুতে চীন সরকার এবং চীনা জনগণের অবস্থান বরাবরের মতো একই। দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা হলো ১৪০ কোটি চীনা জনগণের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি।
আরও পড়ুন…মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর হাতে রেডক্রিসেন্ট প্রতিষ্ঠিত
মাতৃভূমির সম্পূর্ণ একীকরণ বাস্তবায়ন করা হলো সকল চীনা জনগণের অভিন্ন ইচ্ছা ও পবিত্র দায়িত্ব।পেলোসির তাইওয়ান সফর প্রসঙ্গে চীন যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং এর থেকে সৃষ্ট সকল ফলাফলের দায়িত্ব নিতে হবে যুক্ততরাষ্ট্রকেই ও ‘স্বাধীন তাওয়ান’ নামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের।
ইবাংলা/জেএন/৩ আগস্ট,২০২২