বিদ্যুৎ অপচয়ের মহোৎসবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন

জবি প্রতিনিধি

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সরকারের সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতোপূর্বে গত ১৯ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক সকলকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে আহ্বান জানান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ক্লাস পরীক্ষা না থাকলে অযথা যেন লাইট ফ্যান চালিয়ে না রাখা হয়। কিংবা এসির দরকার না হলে যেন এসি ব্যবহার না করা হয়।

আরো পড়ুন…বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জবিতে প্রতি মঙ্গলবার অনলাইন ক্লাস

তিনি আরো বলেন, আমি নিজে সবাইকে বলে দিয়েছি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তর সব জায়গায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সঙ্গে সঙ্গে যেন লাইট, ফ্যান বন্ধ করে দেয়া হয়।

কিন্তু সরেজমিনে বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ এবং উপাচার্যের কক্ষে তাদের অনুপস্থিতিতেও প্রয়োজন ব্যতিরেকে অধিকাংশ লাইট ফ্যান ও এসি চলমান থাকতে দেখা যায়। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে একই রূপ প্রতীয়মান।

সচেতনতাই যেখানে বর্তমান দূরাবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ সেখানে অসচেতন জবি প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন রূপ সত্যিই যেন দুঃখজনক।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তাহে একদিন অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম গ্রহণের ও পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সেখানে প্রশাসনের এরুপ বিদ্যুৎ অপচয় গৃহীত সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

অপ্রয়োজনে কেন এসি, লাইট চালিয়ে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে এক কর্মচারী বলেন, এটা অনেক কম। এর চেয়েও বেশি চালানো হয়।

 

ইবাংলা/জেএন/৪আগস্ট২০২২

জবিবিদ্যুৎ