মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি ৩রা আগস্ট তাইওয়ান অঞ্চলে পা রেখেছেন। এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতিগত মর্যাদা রক্ষার সক্ষমতা রয়েছে চীনা জনগণের।
তিনি বলেন, পেলোসির এমন আচরণ গুরুতরভাবে ‘এক-চীন নীতি’ ও চীনের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করেছে, তা হচ্ছে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক উস্কানি। তা চীনা জনগণকে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক সমাজের অব্যাহত বিরোধিতাও পেয়েছে তার এ আচরণ।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে সাত মাসে ৩০ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ৭
এতে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, কতিপয় মার্কিন রাজনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যে দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’তে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ‘বৃহত্তম নষ্ট-কারী’তে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চীনের একত্রীকরণকে বাধা দেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অংশ। দেশের পুরোপুরি একত্রীকরণ বাস্তবায়ন হচ্ছে ইতিহাসের বড় ধারা। ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ও বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপের জন্য আমরা কোনো সুযোগ দেব না।
যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো পদ্ধতিতে ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের সমর্থন দেক না কেন, তাতে অবশ্যই কার্যকর কিছুই হবে না। অতীতে দেশের দুর্বলতা ও বিশৃঙ্খলার কারণে তাইওয়ান সমস্যার জন্ম হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতিগত পুনরুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যা শেষ হয়ে যাবে’।
আরও পড়ুন…জবি ইনোভেটর্স উইন্ডোর সভাপতি অমৃত, সম্পাদক এনামুল
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি হচ্ছে এক-চীন নীতি। চীন-মার্কিন তিনটি ইস্তাহার সত্যিকারার্থে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্রকে নির্ভর করে বিচ্ছিন্নতাকে অনুসরণ করা বা তাইওয়ানকে কাজে লাগিয়ে চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা’র নীতি অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
চীনা জনগণকে ভয় দেখাতে কেউ সফল হবে না। চীনা জনগণ একতার জন্য প্রতিজ্ঞ। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতিগত মর্যাদা রক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে চীনা জনগণের। সূত্র: সিএমজি।
ইবাংলা/জেএন/৪ আগস্ট,২০২২