পলোসির তাইওয়ান আগমনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চীন সাগরের আধিপত্য নিয়ে চীনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। নমপেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি পরিস্কার করলেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নমপেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনা অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত উদ্বেগ খণ্ডন করেন।
ওয়াং ই বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের অবস্থানের ঐতিহাসিক ও আইনগত কারণ আছে। চীনা অবস্থান কখনও পরিবর্তন হয়নি।
চীন ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ‘দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন পক্ষের আচরণের ঘোষণা’-য় বরাবরই অবিচল থেকেছে। দু’পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে যথাযথভাবে মতভেদ সমাধান করে থাকে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো কয়েকটি বড় দেশের হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র চীনের অবস্থা ও প্রস্তাব অস্বীকার করে।
দেশটি নিজের রাজনৈতিক চাহিদা অনুযায়ী ইচ্ছামতো নীতি পরিবর্তন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঞ্চলিক দেশগুলোকে সম্মান করে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা।
ওয়াং ই আরও বলেন, চীন আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের আচরণবিধি’ নিয়ে আলোচনা জোরদার করছে। সূত্র: সিএমজি।
ইবাংলা/জেএন/৭ আগস্ট,২০২২