টেলিভিশনে টকশোতে অনেক সময় আলোচকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনা সহসায় মিমাংসার চেষ্টার করেন উপস্থাপক। কিন্তু মাঝে মাঝে টকশোতে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছায়। সেটিই ঘটেছে পাকিস্তানে একটি টেলিভিশন টকশোতে। দুই আলোচকদের মাঝে বাক্য বিনিময়ের পর হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। হাতাহাতির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানের শাসক দলের দুর্নীতি ও সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা দিয়ে শুরু হয় টকশো। আস্তে আস্তে আলোচনা উত্তপ্তের দিকে গড়ায়। এক পর্যায়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ফিরদৌস আশিক আওয়ান পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আব্দুল কাদির খান মান্দোখেলকে চড় দেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাল তাক’ নামের একটি অনুষ্ঠানে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওই দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই নেতার আলোচনা ভালোভাবেই চলছিল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএনএ) আব্দুল কাদির খান সরাসরি ফিরদৌস আওয়ানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগের জবাবে ফিরদৌস তার কাছে প্রমাণ চান এবং মানহানির মামলার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে ফিরদৌস আওয়ান আব্দুল কাদির খানকে চড় মেরে বসেন। তারপর শুরু হয় দুই জনের মধ্যে হাতাহাতি।
পিটিআই নেতা ফিরদৌস আওয়ান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং বর্তমানে পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি (তথ্য)। আর কাদির খান মান্দোখেল হলেন বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির জাতীয় পরিষদের সদস্য। এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে করাচি পশ্চিম-২ আসন জিতেছিলেন তিনি।
ওই ঘটনার পর ফিরদৌস আওয়ান টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কাদির খান ক্রমাগত তাকে খারাপ কথা বলছিলেন। অনুষ্ঠানের বিরতির সময় সংসদ সদস্য কাদির খান তাকে বাবা তুলে গালি দেন ও হুমকি দেন। এ অবস্থায় নিজের সম্মান বাঁচাতে তিনি কাদির খানের ওপর হাত তোলেন। ঘটনার পুরো ভিডিও প্রকাশ্যে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।