নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর রাজধানী পাড়ায় আপন ভাইকে উচ্ছেদ করতে বাড়ির সীমানা ঘের দেয়া টিনের বেড়া ভাংচুর ও হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি তুলারামপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন মুসা জানান, তারা আপন তিন ভাই। তিনি সকলের ছোট।
পৈত্রিক ভিটা ভাগাভাগি করে সকলে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি নিজ অংশে একতলা ভবন করে সেখানে স্ত্রী সন্তানদের রেখে কর্মস্থল নারায়নগঞ্জ থাকেন। তার মেজ ভাই বিল্লাল হোসেন তার (মুসার) পরিবারকে উচ্ছেদ করতে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন…গফরগাঁওয়ে গোলন্দাজের ‘ত্রাসের রাজত্ব’
শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিল্লাল হোসেন ১০/১২ জনের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে মুসা’র বাড়ির সীমানা ঘেরা টিনের বেড়া ভাংচুর করে। এমনকি মুসা’র বউ ছেলে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালি ও হুমকি দেয়। এ সময় মুসা’র শিশু সন্তানেরা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে।
হামলাকারিদের মধ্যে বিল্লালের স্ত্রী ববিতা খাতুন (৫০),বিল্লালের জামাই বিপ্লব খা (৩৫), মেয়ে লিমা খাতুন (২৭),ভাড়াটে সন্ত্রাসী তুহিন (২৫) একাধিকবার মুসা’র ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর আগে গত ৭ আগষ্ট রাতে বিল্লাল ও তার স্ত্রী ববিতা খাতুন,বড় মেয়ে সুইট খাতুন,মেজ মেয়ে লিমা খাতুন লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহকারে মুসা’র স্ত্রী সন্তানদের উপর হামলা করে।
অবস্থা বেগতিক দেখে মুসা’র স্ত্রী এলিজা সন্তানদের নিয়ে দ্রæত ঘরের মধ্যে গিয়ে জানালা দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় বিল্লাল ও তার সহযোগিরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও অশ্লিল গালি দেয়। এলিজা খাতুনের নিকট হতে মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন…সরকার বিক্ষোভ সমাবেশে ঝামেলা করছে না বিদেশি চাপে : মির্জা ফখরুল
এ ঘটনায় এবং আবারও হামলা হতে পারে এমন আশংকায় ভুক্তভোগি মুসার স্ত্রী মোসাঃ এলিজা খাতুন গত ৯ আগষ্ট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাহামুদুর রহমান তুলারামপুরের বিট পুলিশের অফিসার শিশর ঘোষকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্বায়িত্ব দেন।
তিনি একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রীকে কোন প্রকার শান্তি ভঙ্গ না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে সীমানা বেড়া ভাংচুর করে ও মুসা’র স্ত্রী সন্তানদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান বলেন, অপরাধিদের বিরূদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
ইবাংলা/জেএন/১৩ আগস্ট,২০২২