বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করছে। এই হিসাবে চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।২১ আগস্ট রোববার বিকেলে রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন…আওয়ামী লীগে মোমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপ বাড়ছে…
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি। তারা শিগগিরই কাজ শুরু করবে। এ ব্যাপারে একটি নীতিসংক্রান্ত দলিলের খসড়া তৈরি হয়েছে।জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭২ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল। আর এ বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জন।
আরও পড়ুন…ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করল ডিএসসিসি
২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিল বাংলাদেশে। এর আগে থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গার উপস্থিতি ছিল।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত সেখানকার কর্মকাণ্ডে পুরো মাত্রায় যুক্ত হয়নি। বিশেষ করে স্থানীয় বেসরকারি সাহায্য সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের খাবারের জোগান দিচ্ছে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে বাস চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
টাস্কফোর্সের বৈঠকে রোহিঙ্গা শিশুদের পড়াশোনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ কিন্ডারগার্টেন (কেজি) থেকে গ্রেড নাইন পর্যন্ত মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে এই শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করবে।
ইবাংলা/তরা/২২ আগস্ট ২০২২