ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ঠিক সেদিনই তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রায় ৪ বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়ে সম্রাট বললেন বহিষ্কারের বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
আরোও পড়ুন……তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসলে হাজারো কর্মীদের সামনে তিনি বলেন, আমি আজকে শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। এ সময় যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃতের বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না বহিষ্কৃত। আমি জানি না…।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই, আমি সবসময় শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাব। এর আগে, গত ২৩ আগস্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর অসুস্থতাজনিত কারণে আরও দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আজ দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সম্রাট। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থক সম্রাটকে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন…শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিন মামলায় এবং মে মাসে দুদকের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তবে দুদকের এক মামলায় হাইকোর্টে জামিন স্থগিত হওয়ার পর ফের আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হয় সম্রাটকে।
ইবাংলা/আরএস/২৬ আগস্ট, ২০২২