তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে এনটিআরসিএ’র প্রকাশিত গণবিজ্ঞপিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব ও এনটিআরসি’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন এডভোকেট কামরুজ্জামান ভূইয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।
আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এনটিআরসিএ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ প্রকাশ করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগে এমপিও নন-এমপিও পদের জন্য মোট ১৫ হাজার ১৬৩টি ফাকা আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত ১২ হাজার ৮০৭টি এবং নন-এমপিওভুক্ত ২ হাজার ৩৫৬টি আসনের জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। পরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি) পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে এনটিআরসিএ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের আবেদন করার সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত ১০১ জন শিক্ষক এই রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন…পাটের ফলন ও মুল্য নিয়ে কৃষকের মুখ হাসি
ওসমান গণি, মোছা. রিক্তা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, মো. আব্দুল্লা হিল বাকি, মো. শাহিনুর রহমান, সমিরন মজুমদার, মন্টুলাল সরকার, সুদেব চন্দ্র পাল, গিতা ও সুরেন মন্ডলসহ ১০১ জন হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত গত ২০ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে। আজ ওই রুল নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষনা করলো হাইকোর্ট।
ইবাংলা/জেএন/২৯ আগস্ট ২০২২