নোয়াখালীল কোম্পানীেঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে (২২) ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মালেশিয়া প্রবাসীর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আরবের নেছা লাভলী (৪৫) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের জাগিদার বাড়ির ছানা উল্যার স্ত্রী।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চরফকিরা ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেতার করে পুলিশ। এর আগে,গেত রোববার এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে চারজনকে আসামিকে করে নারীও শিশু নির্যাকন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার খালার বাসায় ৬/৭ বছর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। অভিযুক্ত আশিক মালয়েশিয়া প্রবাসী। ৪ বছর আগে তার মা-বাবা ভিকটিমসহ তার পরিবারকে জানায় তাদের ছেলে মালয়েশিয়া একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
তাকে ওই মেয়ের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সাহায্য করতে হবে। তখন তরুণী তাদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তার মা-বাবার মাধ্যমে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু করে। যোগাযোগের এক পর্যায়ে আশিক তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে তরুণী রাজি হয়।
গত ১৮ আগস্ট সে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসে। একপর্যায়ে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর তার খালার বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বিয়ে করে আশ্বাস দিয়ে দুই দিন তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে নির্যাতিতা তরুণী বিবাহের জন্য বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে তালবাহানা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযুক্ত যুবকসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বুধবার সকালে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই দিন দুপুরে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ইবাংলা/জেএন/৩১ আগস্ট ২০২২