মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা-শ্রমিক সোনা মনি ও রীতা পানিকার কথা শুনে আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে কাঁদলেন উপস্থিত চা-শ্রমিকরাও।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই উপজেলার পাত্রখোলা চা-বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় চা-শ্রমিক রীতা পানিকা প্রথমে চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানান। মজুরি বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ।
চা-শ্রমিক সোনা মনি বলেন, আমি আপনার ওপর খুশি আছি। আগে ১২৯ টাকা পেতাম এখন ১৭০ টাকা পাই মা। আমাদের কোন অভাব নাই। আপনি সব করে দিয়েছেন। আপনি আমাদের একটা সুবিধা করিয়া দিবেন যাতে পেট ভরিয়া খেতে পারি। এ সময় তিনি বাগানের স্কুলগুলো সরকারি করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন…ট্রান্সজেন্ডারের সঙ্গে ডেটিং করছেন এমবাপ্পে
এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে রীতা পানিকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আমরা সবসময় আপনার কথা ভেবে এসেছি এবং ভেবে যাব। আমরা জানি, আপনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। সেই স্বাধীনতা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। আমরা চাই আপনার বাবার মতো আপনিও কোনোদিন আমাদের কাছ থেকে সরে যাবেন না। আপনি আমাদের কাছে চিরজীবী থাকবেন।
আমরা চা শ্রমিকরা যে কষ্টে আছি সেটা আপনি দেখেছেন এজন্য আপনাকে কোটি কোটি ধন্যবাদ। আপনাকে আমাদের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক কাপ চায়ের দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনাকে আমরা দেখছি, এটা যে আমাদের জন্য কত আনন্দের সেটা মুখের ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এসময় রীতা পানিকা কোনো ভুল-ক্রটি হলে ক্ষমা চান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা নাগরিকত্ব দিয়েছেন, আমি সবাইকে ঘর করে দিব। ছেলে-মেয়ে নিয়ে যাতে ভালভাবে থাকতে পারেন সেটা করে দিব। পরে প্রধানমন্ত্রী চা বাগানের ঐতিহাসিক ঝুমুর নাগ দেখেন এবং প্রশংসা করেন’। শেখ হাসিনা আবেগে অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, ‘আপনারা ক্ষমা চাইবেন কেন। আপনারা যেটা করেছেন সেটা বাঁচার তাগিদে করেছেন। আমি সেটা বুঝি। এজন্য আগে আমি মালিকদের সঙ্গে বসেছি, এখন আপনাদের সঙ্গে বসলাম’।
আরও পড়ুন…যা আগে কখনও দেখেননি (সব ছবি দেখতে ক্লিক করুন)
এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।
ইবাংলা/জেএন/০৩সেপ্টেম্বর ২০২২