আমাদের শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয়, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ৬০তম বার্ষিকী (১৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার। ১৯৬২ সালের এ দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকেই।
দুপুরে ‘শ্রেণী বিভাজনের শিক্ষা নয়, মানুষ গড়ার শিক্ষা চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৬০তম শিক্ষা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ছাত্র সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নীলক্ষেত হয়ে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এসে র্যালিটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন…বিশ্বকাপের মত বড় আসরে নিজের নাম থাকাটা গর্বের
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন চায় না ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চা হোক। দিনে দিনে এ সরকার শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করছে। একইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে শিক্ষাকে সাপ্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।
পরে সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে যেমনি লড়াই করেছিলাম শিক্ষার্থীবান্ধব একটি শিক্ষানীতির জন্য, আজও তেমনি লড়াই করে যাচ্ছি একই দাবিতে। সেদিনের সেই শহিদদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ আমাদের এখনো পথ দেখায়।
সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক কাজী রাকিব।
আরও পড়ুন…অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতি করেন
ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজোয়ান হক মুক্ত, গাজীপুর জেলা সংসদের সভাপতি দিদারুল ইসলাম শিশির ও মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ।
ইবাংলা/জেএন/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২