রাজনীতির নামে যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ডেস্ক রিপোর্ট

 ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজনীতির নামে অগ্নিসন্ত্রাস করলে কঠোর হবে পুলিশ রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করলে বাধা দেবে না পুলিশ। তবে রাজনীতির নামে যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান।

কমিশনার আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘাত বাড়ানোর জন্য কিছু মানুষ কাজ করে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এসব মিছিল-মিটিংয়ে যাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মুলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সভায় গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ ছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারেও কাজ করার কথা বলেন কমিশনার।

আরও পড়ুন…সরাইলে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও মিরপুর বিভাগ। তবে ওয়ারেন্ট জারিতে সেরা হয়েছে উত্তরা বিভাগ। সেরা থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা।

সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মুগদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হোসাইন।

আরও পড়ুন…পুকুর ভরাট করে ভবন নির্মাণ, ৭ জনের নামে মামলা

পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) তোফাজ্জল হোসেন। যৌথভাবে সেরা এসআই নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দিন-১ ও পল্লবী থানার এসআই সাইফুল ইসলাম।

বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই নুর উদ্দিন-১। মাদক উদ্ধার করে সেরা হয়েছেন পল্টন থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন লালবাগ থানার থানার এসআই জ্যোতির্ময় মল্লিক।

নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। সেরা টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার।

অস্ত্র উদ্ধারে সেরা টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহিদুর রহমান। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে সেরা টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু।

চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। অজ্ঞান ও মলম পার্টির কার্যক্রম রোধে সেরা টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু আশরাফ সিদ্দিকী।

আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। সেরা সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম। সেরা ট্রাফিক পরিদর্শক হয়েছেন ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। সেরা সার্জেন্ট হয়েছেন ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. আব্দুল কাদের।

আরও পড়ুন…ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে ৬ হাজার সৈন্য নিহত

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা/জেএন/২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে