রাজধানীজুড়ে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। বিশেষ করে আগারগাঁও, মতিঝিল, মিরপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকছে। এতে গ্যাসনির্ভর শিল্প, বাসাবাড়ির রান্না, যানবাহনের সিএনজি নিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এলএনজি নির্ভরতা, গ্যাস অনুসন্ধানে কম বিনিয়োগ আর উৎপাদনে অনীহাকেই সংকটের প্রধান কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন…ফুটবল খেলার মাঠে সংঘর্ষে ১২৯জন নিহত
জানা গেছে, রাজধানীর বেশি কিছু এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় থাকে না তিতাসের গ্যাস। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুলা জ্বালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। অনেকে বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার কিনেছেন, কেউ ব্যবহার করছেন বৈদ্যুতিক চুলা। যাদের সামর্থ্য নেই তারা ফিরেছেন মাটির চুলায়। আর এই তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
শুধু তাই নয়, ভোগান্তির লাইন দীর্ঘ হয়েছে সিএনজি পাম্পেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে যানবাহনে গ্যাস নিতে হচ্ছে। চাপ কম থাকায় পুরো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বিপাকে ভাড়ায় চালিত যানবাহনের চালকরা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পরিস্থিতির অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশেও। একে এলএনজি নির্ভরতার খেসারত হিসেবে দেখছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে অনিয়ম, পৃথিবীর কোনো দেশে এতো উচ্চাহারে অনিয়ম হয় না। এই অনিয়মের বড় একটি অংশ চুরি। অবৈধ লাইন তৈরি করে গ্যাস নেওয়া যদি বন্ধ করা যেত তাহলে বড় আকারের গ্যাস সাশ্রয় হতো। সহসাই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার লক্ষণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যায়ী না হলে, সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইবাংলা/জেএন/০২ অক্টোবর ২০২২